চকরিয়ার বানিয়ারছড়ায় সড়ক বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলায় চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া এলাকায় সড়ক বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র।ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,এতদিন ওই জায়গাটি চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও কয়েকবছর আগে স্থায়ী ভবনে চলে যান হাইওয়ে পুলিশ।সেই সুযোগে পাশের রাইস মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরী পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পটি ভেঙে ইট,বালু ও কঙ্কর মজুদ করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষসূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বানিয়ারছড়া স্টেশনের পুরাতন সওজ অফিসের জায়গা ছাড়াও উপজেলার পয়েন্টে দিনদিন বেহাত হচ্ছে বেসুমার সরকারি সম্পদ।বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের চকরিয়া উপ-বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী আবু আহসান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তাফা। তিনি বলেন, বানিয়ারছড়া স্টেশনে রাইচ মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরী যে জায়গাটি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্ঠা করছেন, সেটি আমাদের পুরাতন অফিসঘর ও স্টাফ কোর্য়াটার।আগে কর্মকর্তারা সেখানে নিয়মিত অফিস করতো। পরবর্তীতে আমাদের অফিস কার্যক্রম চকরিয়া সদরে স্থাপিত হলে বানিয়ারছড়া স্টেশনের ওই অফিসটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এরপর আমাদের অনুমতি সাপেক্ষে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় তিনবছর আগে হাইওয়ে পুলিশ বানিয়ারছড়া স্টেশনের পুর্বপাশে নিজস্ব জমিতে স্থায়ী ভবনে চলে যান। বছর সময় ভবনটি পরিত্যক্ত থাকলেও সম্প্রতি সময়ে পাশের রাইস মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরী কৌশলে ওই জায়গাটি দখলে নিয়েছে।
উপসহকারি প্রকৌশলী আজিজুল মোস্তাফা বলেন, ইতোমধ্যে অফিস থেকে স্টাফ পাঠিয়ে আমাদের ওই জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে অভিযুক্ত রাইচ মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরীর লোকজনকে বারণ করা হয়েছে। বুধবার বিকালে চকরিয়া অফিসে বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রকে মৌখিকভাবে বারণ করেছি। তারপরও নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে কক্সবাজারস্থ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হবে। তার নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।